ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আগষ্ট -২০২১ :

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচি আর হচ্ছে না, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তিনি বলেন, টিকা কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে গণটিকা কর্মসূচি বন্ধ নয়, আরো জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা আমদানীতেও সাফল্য দেখাতে হবে।আজ এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন,স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারিতে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এতে দরকার হবে ১৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা। কিন্তু ২৩ আগষ্ট-২০২১ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬২২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ জন। ফেব্রæয়ারির মধ্যে প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ১৬৩ ডোজ টিকা। প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সোয়া ২ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এই বিপুল সংখ্যক টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে এবং কিভাবে প্রয়োগ হবে তা উল্লেখ নেই। বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন,গণটিকা কর্মসূচিতে বিশৃংখল পরিবেশ ছিলো কিন্তু প্রতিদিন লাখ লাখ সাধারণ মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে আমরা আশা করছি, সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করে আবারো গণটিকা কার্মসূচি চালু করতে হবে। গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সারা পৃথিবী যখন জীবন যাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলেছে, তখনো বাংলাদেশের নাম বিশে^র মধ্যে টিকা প্রয়োগে পিছিয়ে পড়া দেশের তালিকায়। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, এশিয়ার মধ্যেও করোনা টিকা প্রয়োগে বাংলাদেশ পিছিয়ে। তাই করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচির বিকল্প নেই।

খন্দকার দেলোয়ার জালালী

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরপ্রেস সেক্রেটারি-০২।