
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, টিকা নিয়ে বাণিজ্য করা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে করোনা টিকা আমদানি করায় বিকল্প উৎস রাখা হয়নি। তাই বাংলাদেশে টিকা ব্যবস্থাপনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একটি কোম্পানি কোটি কোটি টাকা মুনাফা
অর্জন করেছে। কিন্তু টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা মেলেনি।’
কোম্পানির মাধ্যমে করোনা টিকা আমদানি করে সরকার। এতে টিকাপ্রতি ওই কোম্পানিটি ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে। শেয়ারবাজারের ওয়েবসাইটে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী- জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমদানি করে তারা লাভ করেছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই কোম্পানি এপ্রিলে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা আমদানি করেছে বিদ্যমান সেই চুক্তির আওতায়। অর্থাৎ সেখানে লাভ করেছে প্রায় ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। দেশের কোটি কোটি টাকা হরিলুট হচ্ছে করোনা টিকা আমদানিতে, এ রকমই প্রতীয়মান হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে সে উৎস থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এবং কোনো বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা না রাখায় এখন টিকাপ্রাপ্তি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে। মহামারীর ভয়াবহতা যখন বাংলাদেশের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে, তখন আমরা টিকার অভাবে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘করোনাকালে টিকা নিয়ে বাণিজ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে টিকার মজুদ প্রায় শেষের পথে। এমন পরিস্থিতিতে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখায় মহাসংকটে সারাদেশ। দেশের মানুয় গভীর উৎকণ্ঠায়। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী, তা জানতে সবাই আগ্রহী।’
http://www.dainikamadershomoy.com/post/314615
