ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণঢালা

অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ উপলক্ষে বিশ্বের সকল ধর্মের অনুসারীদের আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।

বাঙালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্ম মতে, “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন” এর প্রত্যাশায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। এসময় সমাজের অন্যায়, অবিচার, অশুভ এবং অশুর শক্তি দমনের মাধ্যমে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরম ভক্তিতে আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আবহমানকাল ধরে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করেন। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সার্বজনীন দুর্গোৎসবে এদেশের মুসলিম-বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সম্প্রদায়ও আনন্দ মুখর পরিবেশে অংশ নেয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিরাজমান হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরো সম্বৃদ্ধ হবে। আরো সুসংহত হবে বাংলাদেশে অসাম্রদায়িক চেতনা।

এই শুভক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-কে। দাঙ্গাজনিত কারণে, প্রায় ৫০ বছর রাজধানীতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের হয়নি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময় ১৯৮৯ সালে আবারো জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জন্মাষ্ঠমীর শুভ দিনটিকে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন। পল্লীবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট। যোগ্যতার ভিত্তিতে সকল ধর্মাবলম্বীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া, প্রতিটি পূজা-পার্বণ, মন্দির নির্মাণ ও মন্দির সংস্কারে পল্লীবন্ধুর আন্তরিক সহায়তা ছিলো সর্বজনবিদিত।

সবার শান্তিময় উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি।

(গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি)

চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।

error: Content is protected !!