জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ জানতে চায় কার স্বার্থে চার মাস অতিবাহিত হলেও বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল হচ্ছে না। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি দেশে তৈরি টিকা বঙ্গভ্যাক্সের সফলতার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা দিতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা       বলেন তিনি। বিবৃতিতে জি এম কাদের আরও বলেন, গেল জানুয়ারিতে গ্লোব বায়োটেক ইথিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো অনুমতি মেলেনি।

অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা প্রতিরোধে বঙ্গভ্যাক্সকে তালিকাভুক্ত করেছে। আবার গেল বছর ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেককে বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। কিন্তু বিএমআরসির অনুমতি না পাওয়ায় সফলতার মুখ দেখছে না দেশে তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স। গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিরোধীদলীয় এই উপনেতা আরও বলেন, ভ্যাকসিনটির অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে এক ডোজেই কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফলের আশা করছেন গবেষকরা। এক ডোজের টিকা বঙ্গভ্যাক্স সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাসমুক্ত এবং শতভাগ হালাল। তাই বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদনে সরকারিভাবে সহায়তা করতে হবে। জি এম কাদের বলেন, বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে চমক সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশের বঙ্গভ্যাক্স।

error: Content is protected !!