ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদ
মেগা প্রজেক্টের চেয়ে এ মূহূর্তে মানুষ বাঁচানো জরুরী
বর্তমান পরিস্থিতি বিরাজ করলে দুর্ভিক্ষ হওয়া অস্বাভাবিক নয়
– জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, এমপি

জিডিপি’র সত্যিকার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। ধনীরা ক্রমাগত ধনী হচ্ছে, গরীবরা ক্রমাগত গরীব হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব রয়েছে, যার ফলে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকছে না। বর্তমান বিশে^র অস্থিরতা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বলা যায় এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রয়োজনে মেগা প্রজেক্টগুলো বন্ধ করে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো জরুরী। ক্রয় ক্ষমতা তৈরি করা সম্ভব না হলে বাজারে পণ্য থাকলেও মানুষ তা কিনতে পারবে না। তাই আয় বৈষম্য কমিয়ে সাধারন মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। দুর্নীতি এখন সর্বত্র ছেয়ে গেছে। মধ্যসত্বভোগীরা সব সময়ই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করে থাকে। একে প্রতিরোধে শক্তিশালী বাজার মনিটরিং টিম গঠন ও বাস্তবায়ন করা জরুরী। সরকারকে বুঝতে হবে, টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বরং রেশনিং কার্ড প্রবর্তন করে জনগণের মাঝে পণ্য পৌছে দিলে তা আরো বেশী সহায়ক হবে। মানুষের উপলব্ধি সরকারকে বুঝতে পারছে না। মানুষ মনে করে সরকার এ মুহূর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আজ ০৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার বিকালে এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এমপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জ্বালানী তেলের দাম বাড়া ও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে ভোগ্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু কি কারণে ভোজ্য তেল, শাক-সবজী, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি পণ্যের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গেল। ফুলকপি, লাউ, শশা, টমেটো, গাজর, সীম, মাছ-মাংস, ব্রয়লার মুরগী আমরা তো বিদেশ থেকে আমদানী করি না। কি কারণে, কোন সিন্ডিকেটের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এই প্রশ্ন এখন সর্বস্তরের। কেবল রোজার সময় ১ কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা না যায়, তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই যতদ্রুত সরকারকে দ্রব্যমূলের এই লাগামহীন ঘোড়াকে টেনে ধরতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ৭ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন-
১। জরুরী ভিত্তিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব মোকাবেলায় অন্তত: আগামী ৬ মাসের জন্য খাদ্য-শস্যের চাহিদা নিরুপন ও যোগান নিশ্চিতকরণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ২। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রভাব মোকাবেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রত্যেক উপজেলায় সরবরাহ করা ৩। আভ্যন্তরীন চাহিদা পুরণ না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য-শস্য, শাক-সবজী, মাছ-মাংস বিদেশে রফতানী সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা ৪। অসাধু ব্যবসায়ী যারা কৃত্রিমভাবে খাদ্য পণ্য সংকট তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাব্যুনালের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ৫। এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আভ্যন্তরিন পর্যাবেক্ষন জোরদার করা ৬। পণ্যের নিরাপদ সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা ৭। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানী নির্ভর পণ্যের ভ্যাট হ্রাস করা। একই সাথে আমদানী নির্ভরতা কতিপয় প্রতিষ্ঠানের হাতে সীমিত না রেখে উন্মুক্ত করে দেয়া।

প্রতিযোগিতায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’কে হারিয়ে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক রিজভী নেওয়াজ, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয় ও সাংবাদিক ইসরাত জাহান উর্মি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

মাসিক চাঁদা পরিশোধ

মাসিক চাঁদা পরিশোধের জন্য বিকাশ একাউন্টের পেমেন্ট অপশন এ গিয়ে 01958368820 এই নাম্বার বা  বিকাশ অ্যাপস থেকে নিচের QR কোড স্ক্যান করে মাসিক চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন বা ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোন ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড দিয়েও দেয়া যাবে বিস্তারিত


This will close in 20 seconds

error: Content is protected !!