জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা হাহাকার বিরাজ করছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার যেন কিছুই করার নেই। এক বিবৃতিতে রোববার তিনি এ কথা জানান। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব বাজারে দাম বেড়েছে এই অজুহাতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১২ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এছাড়া চাল, ডালসহ খাদ্যপণ্যের দামও বেড়েছে। অথচ করোনাকালে কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। আয় কমেছে কয়েক কোটি মানুষের। জিএম কাদের বলেন, মাঝে মাঝে টিসিবির মাধ্যমে গরিব মানুষের জন্য কিছু খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয়, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে টিসিবির পক্ষে কোনো পণ্যই চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সেটা কাম্যও নয়।কেননা এতে করে তাৎক্ষণিকভাবে মূল্য হ্রাস হলেও দীর্ঘমেয়াদে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যেতে পারে যাতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাজারজাতকরণে নিরুৎসাহিত হবেন ও সরবরাহ ঘাটতি হয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে। শুধু নিম্নবিত্ত জনসমষ্টিকে সহায়তা দেয়ার জন্য ভর্তুকি হিসাবে সহনীয়মূল্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় টিসিবির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তবে সব দরিদ্র ও নব্য দরিদ্রদের মাঝে যাতে এ সহায়তা পৌঁছে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সহজলভ্যতা ও সরবরাহ নিশ্চিত করে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এখানে দুটো জিনিসের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।প্রথমটি হলো সরবরাহকারীরা যাতে নিজেদের ভেতর সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে বাজার মূল্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে ও সে প্রক্রিয়ায় ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে না পারে। আর দ্বিতীয়টি হলো সরবরাহকারীরা যেন বিভিন্ন পর্যায়ে বারবার চাঁদা বা ঘুস দিতে বাধ্য না হয়। এতে তাদের পক্ষে ন্যায্য দামে বিক্রয় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এগুলোই বর্তমান বাজার দর বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়গুলোর ওপর তদারকি ও ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া শুধু টিসিবির ওপর নির্ভরশীল হয়ে বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও তার মাধ্যমে জেল, জরিমানা করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ কখনোই সম্ভব নয়।

মাসিক চাঁদা পরিশোধ

মাসিক চাঁদা পরিশোধের জন্য বিকাশ একাউন্টের পেমেন্ট অপশন এ গিয়ে 01958368820 এই নাম্বার বা  বিকাশ অ্যাপস থেকে নিচের QR কোড স্ক্যান করে মাসিক চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন বা ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোন ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড দিয়েও দেয়া যাবে বিস্তারিত


This will close in 20 seconds

error: Content is protected !!