
ঢাকা, বুধবার, ১১ আগষ্ট-২০২১ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, গণটিকা কর্মসূচি সফল করে সারা বিশ^ যখন সব কিছু স্বাভাবিক করে ফেলছে, তখন আমাদের দেশে শতশত মানুষ এক ডোজ টিকার জন্য সারারাত লাইনে বসে রাত কাটিয়েছেন। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধরা সীমাহীন ভোগান্তিতে রাত কাটিয়েছেন শুধু এক ডোজ করোনা টিকা পাওয়ার আশায়। কারণ, গেলো কয়েকদিন তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরেও টিকা পায়নি। বিশে^ এমন দুঃখজনক ঘটনা নজিরবিহীন। জাতির জন্য এরচেয়ে লজ্জাজনক সংবাদ আর হতে পারেনা। টিকার জন্য সারা রাত শতশত নারী-পুরুষ লাইনে বসে রাত কাটানোর ঘটনা মূল্যায়ন করলেই প্রমাণ হবে গণটিকা কার্যক্রম কতটা ব্যার্থ। গণটিকা কর্মসূচি সফল করতে অন্তত ২৭ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রæততার সাথে বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া, গণটিকা কর্মসূচীতে যথাযথ পরিকল্পনা ও সার্বিক সমন্বয় থাকতে হবে।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে সদস্য প্রয়াত নেতাকর্মীদের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে এক বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, টিকা নিয়ে একেক মন্ত্রী একেক ধরনের কথা বলছেন। মন্ত্রীদের কথা এখন আর মানুষ জানতে চায় না। তাদের বক্তব্যে দেশের মানুষ সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। বাস্তবতা হলো সরকার যা করতে বলছেন দেশের মানুষ এখন আর তা করতে আগ্রহবোধ করছে না।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। উপজেলা এমনকি জেলা পর্যায়ে মুমুর্ষ রোগি প্রায়ই অক্সিজেন সহায়তা পাচ্ছে না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর হতে পারে না। সেকারণে, সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদীসহ দ্রæততার সাথে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। আমরা আবারো বলছি, করোনায় কর্মহীনদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ২ কোটি পরিবারকে মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা অর্থ দেয়া এই মুহুর্তে প্রয়োজন মনে করি।
খন্দকার দেলোয়ার জালালী
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর
প্রেস সেক্রেটারি – ০২।